স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা জিতলে শিরোপার পথে অনেকখানি এগিয়ে যেত আবাহনী। কিন্তু ২৬ রানে জিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লড়াই জমিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
হেরে গেলেও ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান। সমান ম্যাচ খেলে শেখ জামাল ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট করে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় রূপগঞ্জের অবস্থান দ্বিতীয়।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দুই শিরোপা প্রত্যাশীর লড়াইয়ের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। আবাহনীর পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও সাবেক পরিচালক এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলু খেলা দেখেছেন। তারা চলে যাওয়ার পর মাঠে আসেন শেখ জামাল ক্লাবের সভাপতি সাফওয়ান সোবহান। দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য হেলিকপ্টারে চড়ে চলে যান তিনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উন্মুক্ত চাঁদ ও সৈকত আলী ৯০ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছেন দলকে। সৈকত ৫৬ রান করলেও উন্মুক্ত ফিরেছেন সেঞ্চুরি করে। ভারতীয় ওপেনারের ১৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৮ উইকেটে ২৫৬ রান করা শেখ জামালের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান তানভীর হায়দারের।
শেষ দিকে মাশরাফি মুর্তজা ও তাসকিন আহমেদ বল হাতে জ্বলে না উঠলে টার্গেট বেশ বড় হতো আবাহনীর সামনে। মাশরাফি তিনটি এবং তাসকিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
আবাহনীর ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ছিল চমক। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছেন মাশরাফি! তবে ক্যারিয়ারে প্রথম ওপেনিংয়ে নামার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। আবু জায়েদ রাহীর ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ৭ রান করেছেন তিনি। রাহীর সেই ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে দুই উইকেটে ২২ রানে পরিণত হয় আবাহনী।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ঢাকা লিগের অন্যতম সেরা দল, ৪৭.২ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে ২৩০ রানে। মিরাজ (৩৫), বিজয় (৩৪) আর ১০ নম্বরে নামা তাসকিন (৩১) অনেক চেষ্টা করেও হার এড়াতে পারেননি।
তিনটি করে উইকেট নিয়ে শেখ জামালের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন দুই পেসার রাহী ও রবিউল হক।