স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : অলিম্পিকে তিনি হয়ত কোনো রেকর্ড ভাঙেননি। কিন্তু চীনের সাঁতারু ফু ইউয়ানহুই একটা ‘ট্যাবু’ ভেঙে বিশ্বজুড়ে সংবাদের শিরোনাম এখন। রিও অলিম্পিকে মেয়েদের ৪x১০০ মিটার মিডলে রিলে দলের সদস্য ছিলেন। বাকিদের সাথে চতুর্থ হয়েছেন ফু। তার তিন সতীর্থ যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, তখন সেখানে নেই ফু। ২০ বছরের সাঁতারু একটু আড়াল খুঁজে নিয়ে পেট চেপে ধরে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।
কি হয়েছে? “আমি ঠিকমতো সাঁতরাতে পারিনি।” সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ফু বললেন, “গতকালই আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছে। খুব দুর্বল লাগছে। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়। আমি আসলে ভালো সাঁতরাতে পারিনি।” পিরিয়ড নিয়ে এই খোলাখুলি মন্তব্য করে বিশ্ব মিডিয়ার সংবাদে ফু।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ আলোচনা তাকে নিয়ে। এই মুহূর্তে সম্ভবত চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেটও বলা যায় তাকে। ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে এই অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলে সব ছাপিয়ে গেছেন ফু। চীনে অনেকের ধারণা, পিরিয়ডের সময় সাঁতরানো অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ। ফু সেই ধারণা ভেঙেছেন। অনেকে বলেছেন, পুলে তো রক্ত দেখা গেল না। সেটা এড়ানো সম্ভব তুলার ছিপি ব্যবহার করে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা যতটা জনপ্রিয় ততটাই অজনপ্রিয় চীনে।
বিবিসি জানাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুর এর মন্তব্য বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্রীড়া বিশ্বে এভাবে পিরিয়ড নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে তেমন দেখা যায়নি কাউকে। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সময় বৃটিশ টেনিস খেলোয়াড় হিদার ওয়াটসন প্রথম রাউন্ডে তার হারের পেছনে পিরিয়ডকে দায়ী করেছিলেন। ক্রীড়া বিশ্ব সেই মন্তব্যে ধাক্কা খেয়েছিল। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিকে এই ইস্যুতে কথা বলে ফু তো সত্যিকারের অর্থেই এক ‘ট্যাবু’ ভাঙলেন।