স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : অলিম্পিকে ১৮টি সোনা! কেউ এর আগে ভেবেছিল নাকি! সেটাই করে দেখিয়েছেন মাইকেল ফেল্প্স। ফেল্প্স, রায়ান লোকটিদের সৌজন্যে সাঁতারে গত কটি আসরে একচ্ছত্র আধিপত্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফেল্প্স-লোকটিরা যখন ‘বুড়ো’ হয়ে গেছেন, জলে যুক্তরাষ্ট্রের দাপট কি থাকবে আগের মতো? এই প্রশ্নের পুরো উত্তর পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দুর্গ দখল করে নিল এশিয়া। রিওতে সাঁতারের প্রথম সোনাটিই চলে গেল জাপানের কাছে। ফেল্প্সের অন্যতম প্রিয় ইভেন্ট ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে আজ সোনা জিতেছেন জাপানের কোসুকে হাগিনো।
ফেল্প্স অবশ্য এই ইভেন্টে সাঁতরাননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভরসা হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন দুজন। এঁদের একজনকে হারিয়েই সোনা জিতলেন হাগিনো। মার্কিন সাঁতারু চেজ কালিজ জিতেছেন রুপা, মাত্র দশমিক ৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে হেরে গেলেন। এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জও গেছে জাপানে। জিতেছেন দাইয়া সেতো।
বেইজিং অলিম্পিকে আটটি ইভেন্টে সাঁতরে আটটিতেই সোনা জিতেছিলেন ফেল্প্স। এর আগে এথেন্সে জিতেছিলেন ছয়টি। গতবার লন্ডন অলিম্পিকে চারটি। লন্ডনেই বাকি চারটি ইভেন্টের দুটিতে রুপা আর দুটিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। বুঝে গিয়েছিলেন, শরীরে আর কুলোচ্ছে না। এ কারণে অবসরও নিয়ে নেন। কিন্তু ৩১ বছর বয়সী ফেল্প্স আবারও ফিরে আসেন। তবে বাস্তবতা বোঝেন বলেই রিওতে প্রত্যাশার সীমা নিচেই বেঁধে রাখছেন।
ফেল্প্স পুলে নামার আগেই তাঁর প্রিয় ইভেন্টগুলোর একটি, ১৪ বছর ধরে যে ইভেন্টে কেবল তিনিই আটবার বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন, সেই ৪০০ মিটার মিডলেতে তারুণ্যের নতুন পতাকা ওড়ালেন ২১ বছর বয়সী হাগিনো। গতবার এই ইভেন্টে ফেল্প্স নিজে চতুর্থ হলেও বন্ধু লোকটি ঠিকই সোনা জিতে উড়িয়েছিলেন মার্কিন পতাকা। ফেল্প্সের পাশে সাঁতরে লন্ডনে এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে প্রথম নিজেকে জানান দিয়েছিলেন হাগিনো।
আজ ৪ মিনিট ৬ দশমিক শূন্য ৫ সেকেন্ড টাইমিং গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। কালিজের লেগেছে ৪ মিনিট ৬ দশমিক ৭৫ সেকেন্ড। তাতেই হলো রাজত্ব বদল।আগামীকাল ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের বাছাইয়ে প্রথম পুলে নামবেন ফেল্প্স। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এই বাছাই।