বাংলাদেশের হেড কোচ হতে অনিচ্ছুক ফারব্রেস

স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : বাংলাদেশের হেড কোচ কে হবেন? এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বেশ অনেক দিন থেকে। অথচ কয়েকদিন আগেই ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ পল ফারব্রেসকে হেড কোচ হতে প্রায় রাজি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু চুক্তির শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসায় তাকে আর পাচ্ছে না বিসিবি!

বর্তমানে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফারব্রেস। আর সেই কোচকেই গত সপ্তাহ হেড হোচ হতে রাজি করিয়ে সব কিছু প্রস্তুত করেছিল বিসিবি। অথচ চুক্তির কাগজপত্র পাঠানোর পর পরই বেঁকে বসেন। বিসিবিকে সাফ জানিয়ে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যোগ দিতে পারবেন না। অবশ্য এ প্রসঙ্গে দুই পক্ষই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

অথচ ৭ মার্চ বিসিবি সভাপতি কোচ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেই বলেছিলেন গণমাধ্যমে। জানিয়েছিলেন, কোচ নিয়োগের কাজ প্রায় শেষ। তিনি পরিচিত ব্যক্তি। বিসিবি আশা করছিল সেই পরিচিত ব্যক্তি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই যোগ দেবেন। কিন্তু আকস্মিক ঘটনায় তার আর হচ্ছে না।

বিসিবি সভাপতি অবশ্য কোচ প্রসঙ্গে ১১ মার্চ আগের দেওয়া বক্তব্য থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমরা নিদাহাস ট্রফি শেষ হলেই বিষয়টি চূড়ান্ত করবো। বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিতে চাই। আশা করছি এই মাসেই সেসব চূড়ান্ত করতে পারবো।’ বিসিবি সভাপতির পরের বক্তব্যেই স্পষ্ট নতুন করে কোচ খুঁজতে হচ্ছে বিসিবিকে। 

ফারব্রেসের ভালো রেকর্ডই আকৃষ্ট করেছিল বিসিবিকে। শ্রীলঙ্কার হেড কোচ হিসেবে থাকা এই কোচ ২০১৪ সালে বাংলাদেশে লঙ্কানদের সাফল্যের পেছনে ছিলেন। তারা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। এমনকি চার মাসের ব্যবধানে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার অধীনে সফল ছিল শ্রীলঙ্কা।

এরপর ইংল্যান্ডের হয়েও ভূমিকা বজায় রেখে চলেছেন তিনি। বর্তমানে কাজ করছেন হেড কোচ ট্রেভর বেইলিসের অধীনে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড শিবিরে এনেছেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ১০টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৯টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। 

Print Friendly, PDF & Email