স্পোর্টস লাইফ, প্রতিবেদক : রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবু দারুণ খুশি। খুশি তো তিনি হবেনই। এবারের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের অন্যতম বিজ্ঞাপনই হয়ে উঠেছে তাঁর দল।
আগের ম্যাচেই শেখ রাসেলকে ২-০ গোলে হারানো দলটি রুখে দিল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে। সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘আমি দারুণ খুশি। আমাদের লক্ষ্যই ছিল শেখ জামালের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেওয়া।’
১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে সমানতালেই লড়েছে রহমতগঞ্জ। দিদারুল আলম, মাহবুব হাসান নয়ন, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন কিংবা ফয়সল হোসেনরা জামালের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বেশ কবার।
দুই বিদেশি সিও জুনাপিউ ও এলিটা বেঞ্জামিনরাও সুযোগ তৈরি করেছেন অনেকবারই। সুযোগগুলো কাজে লাগলে কোচ কামাল বাবু হয়তো খুশি হতেন আরও।
শেখ জামালের হয়ে আজই প্রথম খেলতে নেমেছিলেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন অ্যানসেলামি। মাঠে নেমেই নিজের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। রহমতগঞ্জের বক্সের ঠিক মাথায় দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত ফিনিশিং।
৫৮ মিনিটে গোলটি শোধ করে রহমতগঞ্জ। গোলদাতা জুনাপিউ। মহামূল্যবান গোলটি পেয়ে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল পুরান ঢাকার দলটি। একবার তো গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমানকে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে বলও ঠেলেছিলেন। কিন্তু পা ছোঁয়ানোর মতো কেউ সেখানে ছিল না।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্টি ছিল না শেখ জামালের ভারপ্রাপ্ত কোচ মোশাররফ হোসেন বাদলের কণ্ঠে, ‘আমরা প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছি। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারার এই ব্যর্থতা আমাদের দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে হবে।’