স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক :জেতার জন্য প্রাইম ব্যাংকের দরকার ৬ বলে ১৬। হাতে ৩ উইকেট থাকায় টি-টোয়েন্টি যুগে খুব একটা কঠিন সমীকরণও নয়। কিন্তু ৩ বলে ৬ রান তুলতে প্রাইম ব্যাংক ২ উইকেট হারিয়ে ফেললে জয়ের পাল্লা ভারি হয় প্রাইম দোলেশ্বরের দিকে। জিততে তখন তাদের দরকার ১ উইকেট, আর প্রাইম ব্যাংককে ৩ বলে করতে হবে ১০ রান। শেষ পর্যন্ত কঠিন কাজটাই করে ফেললো প্রাইম ব্যাংক ১ উইকেটে জিতে, তাও আবার ২ বল বাকি থাকতে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তাদের এই জয়ে অবশ্য দোলেশ্বরের বোলার মামুন হোসেনের অবদান কম নয়! এই বোলার ওভারের শুরুটা দারুণ করলেও শেষ দুই বল করেন ‘নো’। তাতে তার করা পঞ্চম বলে প্রাইম ব্যাংক পায় ৭ রান, পরের বলটাও ‘নো’ হলে জয়ের আনন্দে মাতে মনির হোসেনরা। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মার্শাল আইয়ুবের চমৎকার সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরের ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে করা ২৮৬ রান টপকে যায় তারা ৯ উইকেট হারিয়ে। প্রাইম ব্যাংকের জয়ের পথে মেহরাব হোসেন জুনিয়র খেলেছেন ১০২ রানের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে মেহরাবের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে মেহেদী মারুফ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ১৪৭ রান। মারুফ ৯০ বলে ৮২ রানে আউট হলেও মেহরাব তুলে নেন সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার আগে ১২৫ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে খেলেন ১০২ রানের ইনিংস।
পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও লোয়ার মিডল অর্ডারে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সাজ্জাদুল হক। তার ৫১ রানের ইনিংস জয়ের পথে ফেরায় প্রাইম ব্যাংককে। এরপর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রাইম ব্যাংক পায় রোমাঞ্চকর জয়।
এর আগে মার্শালের ব্যাটে ভর দিয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড়ায় করায় দোলেশ্বর। শুরুর দিকে ইমতিয়াজ হোসেন (১৪) ও মোহাম্মদ আরাফাত (৫) সুবিধা করতে না পারলেও ফজলে মাহমুদ (৪৫) ও ফরহাদ হোসেনের (৬৭*) সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে শক্ত জায়গায় নিয়ে যান মার্শাল। ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ১৩৫ রানের চমৎকার এক ইনিংস। যদিও সেঞ্চুরিটা কোনও কাজে এলো না তার দল দোলেশ্বরের।