তবে আবাহনীর সুন্দর ফুটবলের বিপরীতে উত্তর বারিধারা খেলেছে নেতিবাচক ফুটবল। বল পায়ে রাখার চেয়ে আবাহনী খেলা নষ্ট করতেই যেন বেশি আগ্রহ ছিল তারা! শুরুর বাঁশি থেকে আকাশি-নীল জার্সিদের ওপর চড়াও ছিল বারিধারার খেলোয়াড়রা। শুধু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নয়, রেফারির দিকেও বারবার তেড়ে গিয়েছেন তারা!
অগাস্তো ও তোরেসকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় ছিল বারিধারা। তোরেসকে তো বারকয়েক আটকাতে গিয়ে পা চালিয়েও দিয়েছেন দলটির ডিফেন্ডাররা। রক্ষণ ঠিক রেখে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল ছকে নামা বারিধারা মাঝমাঠ দখল নিতে প্রায়ই শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করেছে। তবে রেফারির সঙ্গে তাদের আচরণ কাঠগড়ায় উঠবে নিশ্চিত। আলমগীর সরকারের কোনও সিদ্ধান্তই যেন মানতে পারছিলেন না সুমন রেজারা! ফুটবলীয় নীতিতে যা একেবারেই বেমানান।
শুধু আউটফিল্ডের খেলোয়াড়েরা নন, বারিধারার গোলকিপারও ভূমিকা রেখেছেন অন্যভাবে। বল যতবার বাইরে গিয়েছে, কিংবা গ্রিপে নিয়েছেন মামুন আলিফ, ততবারই সময়ক্ষেপণ করেছেন।
প্রতিকূলতা মেনে শুরু থেকে বলের দখলে এগিয়ে ছিল আবাহনী। ৮ মিনিটে জীবনের জোরালো শট গোলকিপার মামুন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন। ১৯ মিনিটে মাসিহ সাইগানির ফ্রি কিক সরাসরি গোলকিপারের গ্লাভসে জমে যায়। পরের মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইনে সাইগানির হেড গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার।
বিরতিতে যাওয়ার আগে জীবনের শট এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে আবাহনীর গোল পাওয়া হয়নি। বিরতির পরও আবাহনীর আক্রমণ অব্যাহত ছিল। ৫৮ মিনিটে বেলফোর্টের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান তোরেস মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ছয় মিনিট পর সাইগানির শট গোলমুখ থেকে এক ডিফেন্ডার ফেরানোর পর জুয়েল ফিরতি শট বাইরে মেরে আবাহনী সমর্থকদের হতাশ করেন।
বারবার বারিধারার রক্ষণে আক্রমণ চালালেও ডেডলক ভাঙতে পারছিল না আবাহনী। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের দেখা পায় ১১ বারের চ্যাম্পিয়নরা। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর থ্রো ইনে সাইগানির লং পাস জীবন হয়ে বল পেয়ে যান তোরেস। বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
আর তাতেই আবাহনীর সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটে।