স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : চট্টগ্রামে অনেক রান হলেও ঢাকায় ফিরতেই বিপিএলে আবার রানখরা! শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হয়েছে রংপুর রাইডার্স। রবিবার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস শেষ মাত্র ৬৭ রানে। রংপুর আর কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা আর তামিম ইকবাল তো মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তামিমের সমালোচনার তীর কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার দিকে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক অবশ্য উইকেটে কোনও সমস্যা দেখছেন না। তার মতে, সমস্যা উইকেটে নয়, ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ও ঢাকার উইকেটে বেশ পার্থক্য আছে। তবে আমি মনে করি, উইকেট মোটেও দুর্বোধ্য নয়। একই উইকেটে একটা দল ২০৫ রান করেছে, অথচ আরেকটা দল ৯৭ রানেই অলআউট। তার মানে একটা দল সফল হলেও আরেকটা দল ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ দলটির ব্যাটসম্যানদের অ্যাপ্লিকেশনে হয়তো সমস্যা ছিল।’
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু ব্যাটিং উইকেট বানিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু গামিনি ডি সিলভা সমালোচিত হচ্ছেন। ইসমাইল হায়দার অবশ্য শ্রীলঙ্কান কিউরেটরের পাশেই আছেন, ‘কিউরেটরের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অবান্তর। এই কিউরেটরের অধীনে গত চার বছর ম্যাচ পরিচালিত হচ্ছে, এই মাঠে বাংলাদেশ দলের অনেক সাফল্য। এখানে আমরা ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছি, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে জিতেছি। তখন তো কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন একটা দল ৯৭ রানে অলআউট হয়েছে বলেই কিউরেটরের দোষ! কিউরেটরকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই।’
রংপুরের বিপক্ষে জয় পেলেও মিরপুরের উইকেটকে ‘জঘন্য’ বলেছেন তামিম। কুমিল্লার অধিনায়কের দাবী অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব, ‘না, উইকেট জঘন্য নয়। জাতীয় দল তো এই উইকেটেই খেলে। অবশ্য এটা ঠিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযোগী উইকেট নয়। তবে একটু স্লো হলেও এখানে ১৪০-১৫০ রান সহজেই করা যায়। আমরা উইকেট নিয়ে গ্রাউন্ডস কমিটির সঙ্গে বসেছি। তাদের বলেছি, উইকেট যেন আরেকটু ভালো হয়।’
মিরপুরে জাতীয় দল সর্বশেষ খেলেছিল অক্টোবরে। আর বিপিএল শুরু হয়েছে নভেম্বরে। ইসমাইল হায়দার জানালেন, যথেষ্ট সময়ের অভাবে উইকেট ঠিকমতো প্রস্তুত হয়নি, ‘জাতীয় দলের কথা বিবেচনা করেই উইকেট বানানো হয়, আর উইকেট রাতারাতি বদলানোও যায় না। একটা উইকেট বদলাতে অন্তত চার মাস লাগে। তারপরও উইকেট যেন একদম খারাপ না হয়, সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’