স্পোর্টস লাইফ, প্রতিবেদক : যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ’-বাংলাদেশের সীমিত ওভার ক্রিকেটের অধিনায়ক মাশরাফি মনে করেন এমনটাই। মাশরাফির কথাতে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। প্রথম ম্যাচ জিতলে সিরিজে মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে পরের ম্যাচগুলোতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলা যায়।
সব মিলিয়ে তাই টাইগারদের মূল লক্ষ্য শুক্রবার ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলা, ‘যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সমস্যার মধ্যেও আমরা শেষ একটা সিরিজ খেললাম। এখন ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ শুরু হচ্ছে। আমরা ইতিবাচক আছি। প্রস্তুতি নিচ্ছি ভালো খেলার। আশা করি ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারলে, ভালো ফল আসবে।’
ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে ১২১ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসে থাকা ইমরুল কায়েস। ইমরুলের রান করাটা স্বস্তি দিচ্ছে মাশরাফিকে, ‘আমাদের বেঞ্চ এখন অনেক ভালো। ওপেনিংয়ে ইমরুল ভালো করছে। পেস বোলিংয়ে ভালো করছে কয়েকজন। রিজার্ভে থাকারাও ভালো করছে।
ইমরুলের ইনিংস আমরা দেখিনি, তবে সে অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। দলের জন্য এটা স্বস্তিদায়ক। দলের সবাই খুব খুশি যে প্রথম ম্যাচে ৩৭ করে বাদ পড়ার পরও ইমরুল মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত ছিল এবং অনুশীলন ম্যাচে পেশাদার মনোভাব দেখিয়ে সেঞ্চুরি করেছে। ওর জন্যও এটা ভালো, দলের জন্যও ভালো।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ইমরুল ছাড়াও নাসির রান করেছে, মুশফিক করেছে। এটা অবশ্যই দলের জন্য ভালো। আশা করি ফর্মটা তারা মূল সিরিজেও ধরে রাখতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’
আফগানিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ প্রত্যেকেটি ম্যাচেই শেষ ১০ ওভারে রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাশরাফির ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘শেষের দিকে আমি ব্যাটিং করেছি বা রুবেল করেছে।
গত সিরিজে শেষদিকে বাজে খেলেছে। সেট ব্যাটসম্যানরা আউট না হয়ে গেলে অন্যরকম হতে পারত। এই ধরণের চাপের ম্যাচে সব জায়গাই ঠিক করতে হবে। যে জায়গায় ভুল ছিল, সে সব ঠিক করতে হবে।’