স্পোর্টস লাইফ, ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই টানা চার হারের অভিজ্ঞতা অধিনায়ক মাশরাফির জন্য বিরল। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, অধিনায়ক হিসেবে সে অভিজ্ঞতা একবারই হয়েছে তাঁর। সেটিও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওয়ানডেতে এই অভিজ্ঞতা হয়নি।
গত প্রিমিয়ার লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের অধিনায়ক হিসেবেও টানা চার ম্যাচ হারেননি মাশরাফি। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস তাঁকে সেই বিরল অভিজ্ঞতার মুখে দাঁড় করিয়ে দিল।
গতবার অবিশ্বাস্য জাদুতে যে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দিয়েছিলেন, সেই কুমিল্লা এবারের বিপিএলে ঢাকা পর্বের প্রথম পাট চুকিয়ে দিল একেবারে জয়ের মুখ না দেখে।
আজ নিঃসঙ্গ এক লড়াইয়ে যেন মাশরাফি একাই লড়লেন। সে লড়াই ব্যাটসম্যান মাশরাফির। তাঁর ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের পরও কুমিল্লা ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে গেল ৩৩ রানে।
৩৫ বলের ইনিংসটায় মাশরাফি ছক্কা মেরেছে ৫টি। এর মধ্যে সাকিবের করা ১৯তম ওভারেই মারলেন চার ছক্কায় তুললেন ২৪ রান। যেন মনের ভেতরে জমতে থাকা ক্ষোভের বারুদে কেউ কাঠি ঠুকে দিয়েছিল।
একের পর এক ম্যাচে মাশরাফি পরাজিত অধিনায়কের বেশে মাঠ ছাড়ছেন, অন্তত টিভি দর্শকদের জন্য এ তো বেশ বিরল ছবি!
বোলার মাশরাফি অবশ্য সেই লড়াইটা করতে পারেননি। ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। অবশ্য কুমিল্লার কোনো বোলারই সেই লড়াইটা সেভাবে করতে পারেনি আফগান স্পিনার রশিদ খান (২৮ রানে ৩ উইকেট) বাদে।
মেহেদী মারুফের ৬০, নাসির হোসেনের ৪৩, সাকিবের ২৪ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল ঢাকা। এবারের বিপিএলে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। শেষের দিকে মাশরাফি ঝড়ের পরেও কুমিল্লা করতে পারল ৯ উইকেটে ১৬১।
এবারের বিপিএলে একমাত্র কুমিল্লাই এখনো জয় পায়নি!